‘বিশ্বের মতো বাংলাদেশও কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে’

27

ফেসবুক লাইভে এসে নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা শুনলেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি গত ২৮ মার্চ শনিবার রাত সোয়া ৮টায় উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাস ভবনেতার ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনেন। এ সময় সুজন বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও একটি কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে বর্তমান সময়ে। করোনা ভাইরাস নামক একটি অশরীরীবস্তুর সাথে যুদ্ধ করছে সারাবিশ্ব। পৃথিবীর সব প্রাণচাঞ্চল্য ভরা জনবহুল দেশগুলো আজ থমকে দাড়িয়েছে। এ ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত বাড়িতে থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন করোনা ভাইরাসটি এমন একটি ভাইরাস যা মানুষের সংস্পর্শে ছড়ায়। আমরা যদি সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে বাড়িতে থাকি, সচেতন থাকি, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখিতবেই এ ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো। ফেসবুক লাইভে নাগরিকগণ জনদুর্ভো গলাঘ বেনাগরিক উদ্যোগের ধারাবাহিক সচেতনতার কথাস¥রণ করিয়ে দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগের কথা শুনতে ফেসবুক লাইভে আসায় সুজনকে অভিনন্দন জানান। নাগরিকগণ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সেবাসংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা সুজনকে জানান। বিশেষকরে নগর জুড়ে মশার উৎপাত, বিদ্যুতের লোড শেডিং, ওয়াসার অনিয়মিত পানি সরবরাহ, গ্যাসের দুস্প্রাপ্যতা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ভোগান্তি বিষয়ে সুজনকে অবহিত করেন নাগরিকগণ। দীর্ঘ প্রায়সাড়ে ৪৩ মিনিটের লাইভে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত বাড়িতে থাকার পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে মশার কামড়। সন্ধ্যাহতেনা হতেই মশার কামড়ে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়েছে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা কিংবা গির্জা কোথায় নেই মশা? বিশেষ করে নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষজনের আবাসস্থলে মশার উৎপাত লক্ষ্য করার মতো। বিভিন্ননালা, নর্দমা, খালগুলো ভরাটের ফলে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ থেকে নগরবাসী মুক্তি চায়। তিনি নগরবাসীকে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা করার জন্য চসিক মেয়রের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। এছাড়া নগরীর ময়লা আবর্জনাসমূহ দ্রুততার সাথে অপসারণ করারও আহবান জানান তিনি।তাছাড়া বর্তমান সরকার নির্ধারিত সাধারণ ছুটিতে নগরবাসীর পানি সরবরাহ হঠাৎ করে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী দিনের পর দিনপানি পাচ্ছেন না যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পানির সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ফলে নগরবাসীর দৈনন্দিন কার্যক্রমে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।পানি রসরবরাহ ব্যতিরেকে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে, গোসলসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম একবারেই অসম্ভব। তিনি নগরবাসীর পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়াসার এমডি’র নিকট করজোড়ে অনুরোধ জানান। এছাড়া উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে সেসব এলাকায় ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহবান জানান। এরমধ্যে যদি ওয়াসার পানি সরবরাহ স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে ওয়াসার কার্যালয়ের সামনে একক অনশন কর্মসূচী পালন করবেন বলেও জানান সুজন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনঘাটতি নেই। এছাড়া বেশীরভাগ মিল, কারখানা, অফিস আদালত বন্ধ থাকার ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও নেই বললেই চলে। তারপরও লোডশেডিং এবং ট্রিপ ডাউনের নামে নগরবাসী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ। ঘনঘন লোডশেডিং এবং ট্রিপ ডাউনের ফলে নগরবাসীর অমূল্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রতি নিয়তই নষ্ট হচ্ছে। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা সরকারবিরোধী চক্র অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ও অনুরোধ জানান। এছাড়া বর্তমান ছুটিকালীন সময়ে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে গ্যাসের প্রিপেইড মিটারের মতো পর্যাপ্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স রাখার জন্য ও কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি