বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধে নির্দেশ

22

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যার পর দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সম্প্রতি দেশের কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমনকী শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটছে। এহেন কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের জীবনকে একদিকে যেমন অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে ক্যাম্পাস অশান্ত করে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশের পাশাপাশি দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ অপ্রত্যাশিত অবস্থার দ্রুত অবসানকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে অধিকতর সচেতনতার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউজিসি আহব্বান জানাচ্ছে। খবর বাংলানিউজের
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারকরণের লক্ষ্যে শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি হল ও ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা নিতে ইউজিসি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহব্বান জানিয়েছে।
এছাড়া কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট/হাউস টিউটররা সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সজাগ থাকার বিষয়ে অনুরোধ জানায়।
বিশ্বদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি/ডিএসডবিøউকে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন এ বিষয়ে সহায়তা দেবে। এছাড়া প্রতিটি হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি র‌্যাগিং ও মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রয়োজনে ইউজিসি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। আগে পাঠানো নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়।
‘ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান, ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও মাদকবিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ-বাস্তবায়নের পাশাপাশি জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানিমূলক কর্মকান্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে কতিপয় নির্দেশনা দিয়ে কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়।