বিলাইছড়ির দুর্গম ফারুয়া বন্যাকবলিত এলাকা পরিদশন

128

সপ্তাহ ধরে টানা প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে রাঙামাটির দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নসহ সেখানকার বেশকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ফারুয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়ীঘর, দোকানপাট এবং ফসলি জমির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রবিবার বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম ফারুয়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে জেলা পরিষদ হতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। পরিদর্শনকালে ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অংচাখই মার্মা, বন ওপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অমর কুমার তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়সেন তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সদস্য মৃনাল কান্তি তংচঙ্গ্যা, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৈকত দাশ রুবেলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে বানভাসি মানুষদের জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে যে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা একদিনে পুশিয়ে দেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সব ধরনের বিপদে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে তাদের দুঃখ কষ্ট অনেকটা কমে আসে এবং তাদের মনে সাহস যোগায়। তাই সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এ দূর্যোগপূর্ণ সময়ে এখনও অনেকেই বন্যাকবলিত বাড়িঘর ও দোকানপাট ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি, তারা অন্তত কোন নিরাপদ স্থানে যেন ফিরে যায়। কারণ বন্যা কবলিত বাড়ীঘরে বিষাক্ত সাপ’সহ বিভিন্ন পোকামাকড় প্রবেশ করে কামড় দিতে পারে। অন্যদিকে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তংচঙ্গ্যা বলেন, এ পর্যন্ত আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৪শত পরিবারের তালিকা হাতে পেয়েছি এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সব তালিকা হাতে পেলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি পরিদর্শনকালে প্রতিটি বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকের তালিকা প্রদানের জন্য সেখানকার জনপ্রতিনিধি ও যুবদের নির্দেশ দেন। বন্যায় প্লাবিত পাংখোয়া পাড়া এবং ফারুয়া ইউনিয়নের চাইন্দ্যা, উলুছড়ি, তক্তানালা, ওড়াছড়ি, এগুজ্যাছড়ি, তারাছড়া, ফারুয়া বাজার, ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ আশ্রয়কেন্দ্র, গোয়াইনছড়ি’সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিদের সাথে কথা বলেন পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ফারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালাল।