বিরোধ ভুলে প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা বিএনপি নেতারা

79

চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা ও জেলাপর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলো অভিমান, বিভক্তি এবং কোন্দল। তবে এবার অস্তিত্বের প্রশ্নে একই কাতারে এসেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভিমান ও দ্বিধা বিভক্তি ভুলে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের প্রতিটিতেই ধানের শীষের পক্ষে একাট্টা হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরমধ্যে ১২টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির প্রার্থী। দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ ডেমেক্রেট্রিক পার্টি-এলডিপি। বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটিতে বাংলদেশ কল্যাণ পার্টি ও অপরটিতে জামায়াতের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নের শুরুতে প্রায় সবগুলো আসনে একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলো বিএনপি। তবে চ‚ড়ান্তভাবে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয় দলটি। এরমধ্যে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও বাদ পড়ে যান। তবে দেখা মেলে তরুণ ও নতুন প্রার্থীর। এজন্যে নতুনদের পক্ষে যেমন উচ্ছ্বাস রয়েছে, তেমনি বিরোধীতাও শুরু হয়েছে। তবে প্রার্থী প্রচারণায় নামার সাথে সাথে গ্রুপিং ভুলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সবাই একাট্টা হয়েছেন। নেতাকর্মী ছাড়াও দলীয় প্রতীকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন অপর প্রার্থীরাও।
চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। পুরো চট্টগ্রামে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে সকল নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন। তবে বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ছেঁড়া থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। নানাভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানির মাধ্যমে বিরুপ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
নগর ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি একাধিক গ্রুপে বিভক্ত ছিলো। এ বিভক্তির রেশ ছিলো থানা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত। তবে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সে বিভক্তি বা গ্রুপিং ভুলে এক হয়ে মাঠে নামছেন সবাই। দলীয় প্রার্থী বাধার শিকার হওয়াতে বিরোধ ভুলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এক হয়েছেন নেতারা।
চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নুরুল আলম বলেন, ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ। সবাই সুষ্ঠু পরিবেশের অপেক্ষায় আছেন। ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত জেনে সরকারি দল প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানি করে যাচ্ছে। নানাভাবে আমাদের প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনপি নেতাদের মতে, দলীয় নেতারা ধানের শীষ প্রতীক না পাওয়ায় আমাদের মাঝে কিছুটা অভিমান জমেছিল। কিন্তু চারদিকে যেভাবে অত্যচার শুরু হয়েছে এতে অভিমান ও নিজেদের দ্বিধা-বিভক্তি ভুলে ধানের শীষ প্রতীককেন্দিত
করতে আমরা একমত হয়েছি। দলীয় শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমরা ভোট যুদ্ধে লড়াই করব।
নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, এখন আমাদের মাঝে কোন দ্বিধা-বিভক্তি নেই। সাধারণ কর্মীদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই, সবাই কাজ করছে। তবে প্রশাসন এখানে পক্ষপাত ভ‚মিকা পালন করছে।