বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো ধরনের আপস নয়

34

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো ধরনের আপস করা হবে না। বিঘœকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেননা, সবকিছুর পরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে দেশের একটা উজ্জ্বল ভাবমূর্তি জড়িত। এ কথা বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার কর্মীদের মনে রাখতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিমানবন্দরে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহব্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আমাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া। বিমানবন্দরে যাত্রী যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। খবর বাংলানিউজের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। বিমানবন্দরে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাহবুব আলী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের সব খাতে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুপরিসর কার্গো এপ্রোন নির্মাণ, অত্যাধুনিক রাডার স্টেশন স্থাপন, যোগাযোগ যন্ত্রের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাধুনিক নিরাপত্তা যন্ত্র সংস্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের জন্য রানওয়রের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের স¤প্রসারণ ও রানওয়ের ওভারলে বা শক্তি বৃদ্ধির প্রকল্প ইতোমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের ফলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ১৬ লাখ ৯৩ হাজার যাত্রী এবং সাত হাজার ৯১৮ টন কার্গো এই বিমানবন্দর থেকে পরিবহন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে যাত্রী সংখ্যা এবং মালামাল পরিবহন আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮ শতাংশ ও ৭.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ এবং যেকোনো প্রকার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার-ই-জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।