বিপদ ডাকছে সিএনজি ট্যাক্সির সিলিন্ডার

70

নগরীতে ৩৫০০ মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি ট্যাক্সি চলাচল করছে। গ্যাস সিলিন্ডারগুলোরও মেয়াদ নেই। যে কোনো মুহূর্তে কেড়ে নিতে পারে জানমাল। এরই মধ্যে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও তৎপর নয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। মালিকরা নানাভাবে তদারকি সংস্থাকে ম্যানেজ করে ট্যাক্সি চালাচ্ছে। পুলিশ বলছে এসব ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বিআরটিএ চলছে উপরে জানানো হয়েছে। আমরা আদেশের অপেক্ষায় আছি। জানা যায় ২০০৪ সালে ৩৬১৬, ২০০৩ সালে ৪৪টি, ২০০২ সালের ৯৫টি সিএনজি চালু আছে। এগুলোর মেয়াদ ছিল ১৫ বছর। ২০০২ ও ২০০৩ সালের ট্যাক্সিগুলো অজ্ঞাত কারণে স্ক্যাপ করা হয়নি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪টি ট্যাক্সির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। কতিপয় যাত্রী জখম হয়। মেয়াদ পার হওয়া ট্যাক্সিগুলো শীঘ্র ধ্বংস করা হবে বলে জানা গেছে। যাত্রী সাধারণ অসহায়। কেউ কেউ বলছেন এসব দ্রæত স্ক্র্যাপ করা হোক অথবা গ্যাস টাংকি পুনস্থাপন করা হোক। যাতে জানমাল রক্ষা পায়। সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে বেকায়দায় ট্রাফিক বিভাগও। এদের শৃঙ্খলায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই নাম্বারে একাধিক গাড়ি চলারও অভিযোগ আছে। মিটারে যাত্রী নেয়া হয়না। অথচ হরদম মিটার চালু দেখানো হয়। এসব ভেল্কি দেখানোর কারণ যাত্রীরা বুঝে উঠতে পারে না। ইচ্ছামত ভাড়া হাকায় চালকরা। যেখানে উবার-পাঠাও এক রেট নিচ্ছে অন্যদিকে সিএনজি চালকরা তার দেড়গুণ ভাড়া চেয়ে থাকে বলে বহু যাত্রীর ভাষ্য। ওভারটেক করার প্রতিযোগিতা যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ থেকে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। উপজেলার কিছু কিছু সিএনজি নগরীতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে জট বেড়ে যায়। যাত্রী দেখা মাত্র সড়কে সিএনজির লাইন পড়ে যায়। এতে শৃঙ্খলা আনা গেলে সড়কে নৈরাজ্য অনেকটা কমে আসবে। শুধুমাত্র সিএনজি ট্যাক্সিকে দোষারোপ করলে চলবে না। নগরীতে চলাচলকারী বাস, ট্যাম্পো, রিক্সা, প্রাইভেট গাড়ি কেউ যেন ট্রাফিক আইন মানতে চায় না। বাস-ট্যাম্পোগুলো যাত্রী তুলতে প্রতিযোগিতায় নামে। যেখানে সেখানে যাত্রী উঠা-নামা করে। এতে শুধু যানজটেরই সৃষ্টি হয় না জানমালের ক্ষতির আশংকাও বেড়ে যায়। সুষ্ঠু ও নিরাপদ সড়কের জন্য চালক পথচারিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নাই। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। চাই জানমালের নিরাপত্তা।