বিনা প্রতিদ্বান্দ্বিতায় নারী সংসদ সদস্য হলেন ৪৯ জন

33

নির্বাচন কমিশনএকাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বৈধ ৪৯ জন প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন। আজ চূড়ান্ত ঘোষণা শেষে ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৪ মার্চ সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট গ্রহণ নির্ধারিত হলেও ৪৯টি আসনেই একক প্রার্থী থাকায় এই ভোট গ্রহণের দরকার হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে আসন পাওয়ার আনুপাতির হারে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র জোট একটি আসন পেয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আট প্রার্থী শপথ না নেওয়ায় তাদের কোটার একটি সংরক্ষিত আসনের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন, ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্না মুস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াসিকা আয়েশা খান, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও এ্যারোমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশিদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির চার নির্বাচিত হলেন, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোটের সেলিনা ইসলাম।
প্রসঙ্গত সংরক্ষিত মহিলা আসনে কোনও জেলা কোটা নেই। ফলে যেকোনও দল চাইলে তার কোটার প্রার্থীদের দেশের যেকোনও অঞ্চল থেকে নির্ধারণ করতে পারেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য জেলাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের প্রার্থী ঠিক করেছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ৪ মার্চ।