বিচারক নেই দু’বছর, ঝুলে আছে হাজার মামলা

35

টেকনাফের আলোচিত সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আদালতে বিচারক নেই ২৩ মাস ধরে। ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়েই চলছে বিচার কার্যক্রম। ফলে ঝুলে আছে এক হাজারের মতো মামলার বিচার কার্যক্রম।
তবে আগামী সাপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের দীর্ঘদিনের বিচারক সংকটের অবসান হচ্ছে বলে জানা গেছে। মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মোহাম্মদ ওসমান গনির এ আদালতে যোগদান সংক্রান্ত ফাইল বর্তমানে চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে রয়েছে বলে জানালেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ।
চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এ আদালতে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আদালতে বিচারক না থাকায় একদিকে যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা, অন্যদিকে দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তিতে লেগে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
আদালত সূত্র জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ৯২৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরমধ্যে দুর্নীতির বিশেষ মামলা ২৮২টি, দায়রা মামলা ৪১০টি, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা ৪০টি, দেওয়ানি আপিল মামলা ১০২টি, ফৌজদারি আপিল মামলা ৫২টি, ফৌজদারি রিভিশন মামলা ২২টি ও দেওয়ানি মিস আপিল মামলা ১৭টি।
তথ্য অনুযায়ী, সিএমএম মোহাম্মদ ওসমান গনি জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে যোগদানের ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন হলে তিনি যোগদান করবেন।
বেঞ্চ সহকারী সাইফুদ্দিন পারভেজ জানান, আগামী দুই সাপ্তাহের মধ্যে স্যারের যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে এ আদালতে বিচারক খরা মিটবে।
প্রসঙ্গত: গত বছরের ৬ জানুয়ারি ওই আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এরপর আর নতুন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে চট্টগ্রাম জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ আদালতে নিয়মিত বিচারক না থাকার কারণে দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এতে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বাড়ছে। এ অবস্থায় আদালতে দ্রæত বিচারক নিয়োগ দেয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।