বিএনপির ৫৩ নেতাকর্মী কারাগারে

67

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া ১০টি মামলায় আত্মসমর্পণের পর বিএনপির ৫৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ ভোলা, পতেঙ্গা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাবউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা আছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা না থাকায় ৮৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর মধ্যে ৫৭ জন বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বয়স বিবেচনায় আদালত চার জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে নগরীর পতেঙ্গা-ইপিজেড থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের হয়।
এদিকে পতেঙ্গা থানা বিএনপির ৫৩ নেতা কর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বেগম রোজী কবীর, এসএম ফজলুল হক ফজু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোর করে নিজেদের অনুকূলে বিজয় ছিনিয়ে নিতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। দেশকে বিরোধী দলশূন্য করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোনো কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলাসহ পতেঙ্গা থানার ৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ নজিরবিহীন এবং বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই অংশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীনরা দেশে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিকে জাতীয় সংস্কৃতির অংশে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে জনজীবন দুবির্ষহ হওয়াতে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখার হিড়িক চলছে। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা। সকল অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে না দিলে অবৈধ সরকারের ক্ষমতা তাসের ঘর যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পতেঙ্গার থানা বিএনপির ৫৩ নেতার্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।