বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান

58

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চন্দগাঁও) আসনে উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন আবু সুফিয়ান। গেল একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি ধানের শীষ প্রতীকে এ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির পার্লামেন্টারি কমিটি মনোয়ন প্রত্যাশী তিনজনের সাক্ষাতকার গ্রহণের পর মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবু সুফিয়ানের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেন।
প্রার্থিতার বিষয় নিশ্চিত করে আবু সুফিয়ান বলেন, পালামেন্টারি বোর্ড তিনজনের সাক্ষাতকার গ্রহণ করে। আমাকে প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয় আনবো ইনশাল্লাহ।
এদিকে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিএনপির তিন নেতা গতকাল সাক্ষাতকার প্রদান করেন। এরা হলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোশতাক আহমেদ খান এবং নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ। এরমধ্যে আবু সুফিয়ান বিএনপির প্রার্থী হিসাবে লড়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশ জাসদের নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদলের কাছে পরাজিত হন। আসনটিতে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হন মঈন উদ্দিন খান বাদল।
নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন প্রার্থীকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আবু সুফিয়ান এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আবারও আসনটি বিএনপির ঘরেই আসবে।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সাক্ষাতকার গ্রহণের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে তিন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তারা সবাই দক্ষিণ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৮ সালে নির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু সুফিয়ান, তাকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, এই নির্বাচন অন্তত যদি তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে, তাহলে জনগণের কিছুটা আস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ফিরে আসতে পারে।
গত ৭ নভেম্বর ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল মারা যান। চট্টগ্রাম-৮ আসনের তিনবারের সাংসদ বাদল একাদশ জাতীয় সংসদে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। কেন্দ্র ১৮৯টি। গত নির্বাচনে এ আসনে মঈন উদ্দীন খান বাদল পেয়েছিলেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ধানের শীষের আবু সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট।