বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে : ফখরুল

36

বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, আজকে অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই চক্রান্তগুলো হচ্ছে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য। এই চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে যেটা এখন পর্যন্ত পারেনি, এর আগেও চেষ্টা করেছে বিএনপিকে বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোটো করে দেওয়া। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কোনোদিনই তারা (সরকার) সেটা পারবে না। যতবার বিপর্যয় এসেছে ততবার বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতই জেগে উঠেছে, নতুন জীবন লাভ করেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে বিএনপিতে ‘ভাঙনের সুর’ তৈরি হওয়ার কথা বলে আসছেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার জন্য ‘তৈরি হয়ে আছে’ বলেও গত নির্বাচনের আগে মন্তব্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খবর বিডিনিউজের
ভোটের পর গত ২৩ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জোট শরিক বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ‘মহাপরাজয়’ ঘটায় বিএনপির শৃঙ্খলা ভঙে গেছে’।
বিএনপিকে যারা ‘বিভক্ত করতে চায়’ তাদের পরাজিত করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিকে বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে আমাদেরকে অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে ধারণ করে। সেজন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এতো দুর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোভাসে।
সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ এখন ‘গণশত্রæতে’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজগুলো করে চলেছে।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর স্মরণে এই মিলাদে ফখরুল বলেন, আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করব, তাকে স্মরণ করব। অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অতিদ্রæত আমরা সংগঠিত হয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসব ইনশাল্লাহ, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, হালিমা নেওয়াজ আরলি মিলাদে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বননীতে কোকোর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। পরে তার মরদেহ ঢাকায় এনে বনানীতে তাকে দাফন করা হয়।