বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হচ্ছে চমেক হাসপাতালে

29

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার থেকে স্বল্প পরিসরে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে তিনটি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। সর্বমোট ২০টি মেশিন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেবার মান ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এক হাজার ৭৮১ জন। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণি তিনশ, দ্বিতীয় শ্রেণি এক হাজার ৩৩৯, তৃতীয় শ্রেণি ৮০ ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৬২ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। কর্মস্থলে প্রতিদিন আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের।
স¤প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র পরির্দশনে গিয়ে অনেক চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পায়। দুদক জানায়, চিকিৎসা কেন্দ্রের কিছু চিকিৎসক ইচ্ছেমতো কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন। অনেকে নির্ধারিত সময় দায়িত্বে থাকেন না। -খবর বাংলানিউজের
এরপর কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রেগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। যুগ্ম-সচিব একেএম ফজলুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যে সকল প্রতিষ্ঠানে এখনও বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়নি, সে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জরুরি ভিত্তিতে এ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে উপস্থিতি ও কর্মস্থল ত্যাগের সময় রেকর্ড করা হবে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটি মনিটরিং করা হবে। পাশাপাশি প্রতিমাসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এখনও বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসার শেষ আশ্রয়স্থল এ হাসপাতাল। প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। জরুরি চিকিৎসা নিতে আসেন আট থেকে নয়শ রোগী। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন দেড় থেকে দুই হাজার রোগী।
কিন্তু পাঁচশ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে এক হাজার ৩১৩ শয্যার এ হাসপাতাল। তাই জনবল সংকটে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরতরা। এর মধ্যেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে অন্যদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে কেউ যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।