বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে গাছ লাগাতে হবে

39

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের বনাঞ্চলগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। দেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও পাহাড়গুলো উজাড় করা যাবে না। আগামীতে বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে বাড়ীর ছাদ, বাগান, রাস্তা-ঘাটসহ সর্বত্র বেশী করে ফলজ, বনজ ও ওষধি গাছ লাগাতে হবে। দেশী-বিদেশী ফলমূলের চারা রোপণে আগ্রহী হতে হবে। আমাদের দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ বনভূমি রয়েছে।
জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার উন্নয়ন করতে হবে। দেশের সাধারণ বনাঞ্চল ২২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে ও এক্সক্লুসিভ বনাঞ্চল ১৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি উদ্যোগ বাস্তবায়ন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
শনিবার বিকেল ৫টায় লালদিঘী মাঠে আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান, বনজ ও ফলজ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উত্তর বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেলা আয়োজন করে। এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-‘শিক্ষায় বন প্রতিবেশ, আধুনিক বাংলাদেশ।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মেলার উদ্বোধন অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মো. জগলুল হোসেন। স¦াগত বক্তব্য দেন উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বখতেয়ার নুর সিদ্দিকী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন। বক্তব্য দেন ফতেয়াবাদ নার্সারীর স্বত্তাধিকারী মো. জসিম উদ্দিন। শেষে বেলুন উড়িয়ে ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান, বনজ ও ফলজ বৃক্ষ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী। এরপর অতিথিবৃন্দ মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
মেলায় জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ বন বিভাগ, কৃষি বিভাগ, বিভিন্ন বিভাগ-দপ্তরের কর্মকর্তা, ফরেস্ট্রি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, গভ. মুসলিম হাই স্কুলসহ টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, স্কুল, কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, প্রশিক্ষণার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ, নার্সারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। বিজ্ঞপ্তি