বালুখালী ক্যাম্পে দুইদিনে দুটি লাশ উদ্ধার

80

উখিয়ার বালুখালী ২নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়েছে। ক্যাম্পের বিভিন্ন বøক থেকে যুবকদের নিয়ে গঠিত এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে মো. আইয়ুব নামের এক রোহিঙ্গা। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে আরো অন্তত ১২জন সদস্য। এসব সদস্যের মাধ্যমে বালুখালী ক্যাম্পে হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম চলছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে কেফায়াত উল্লাহ (৩২) নামের এক রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হয়েছে। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও গত ২দিনে ২টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্যাম্পের হেড মাঝি রোহিঙ্গা নেতা আরিফ উল্লাহ হত্যাকান্ডের পর থেকে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই গ্রুপের সদস্যদের চাঁদা দিয়ে চলতে হয় অন্যান্য রোহিঙ্গাদের। প্রতিবাদ করলে চালানো হয় হামলা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি মো. রফিক নামের এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। ১২ ফেব্রুয়ারি একই ক্যাম্প থেকে মোহাম্মদ আলম (২২) নামে আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রফিককে হত্যার ঘটনায় মো. ছলিম নামের এক সন্ত্রাসীকে উখিয়া থানা পুলিশ আটক করেছে।
এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, তাদের গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য তাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে রাজী হয়নি। আইয়ুবের নেতৃত্বে মুহাম্মদুল্লাহ, নুর আলম, নাজুম উল্লাহ, আব্দুর রহিম, মুহিবুল্লাহ, আবুল ফয়েজ, হাশিম, খালেদ, মুছা, মো. নুর, শওকত উল্লাহ সাধারণ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রফিকের লাশ উদ্ধার করা হয় টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অদূরে গভীর জঙ্গল থেকে। আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটছে।