বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে লিভারপুল

25

অসাধ্য সাধন করতে হতো। লিভারপুল করেছে সেটাই। রূপকথা লিখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে কেটেছে টানা দ্বিতীয় ফাইনালের টিকেট। ৩ গোলে পিছিয়ে থাকা জার্মান কোচের হাতে এদিন ছিল না আপফ্রন্টে সালাহ-ফিরমিনোর মত দুই তুরুপের তাস। তবে যা ছিল তা হলো ঘরের মাঠের প্রবল জনসমর্থন, দলের ১১ জন ফুটবলার আর তাঁর প্রখর ফুটবল মস্তিষ্ক। সম্ভবত এই তিনেই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তিনি।
লিভারপুলের হয়ে মহাকাব্যের রাতে জোড়া গোল করেছেন ওরিগি ও উইনালডাম। প্রথম লেগে বার্সার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে আসা ইংলিশ জায়ান্টরা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামীতায় শিরোপার মঞ্চে।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে দলের দুই সেরা তারকা মোহামেদ সালাহ ও রবের্তো ফিরমিনোকে পায়নি লিভারপুল। সেটি শোক হয়নি। বরং ম্যাচের কিকঅফ থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করে অলরেডরা। এগিয়ে যায় সপ্তম মিনিটেই। খাতা খোলেন ডিভোক ওরিগি।
পিছিয়ে পড়ে পাল্টা আক্রমণ গড়ে সাফল্য মেলেনি বার্সার। মধ্যবিরতির পর জর্জিনিও উইনালডামকে নামান ক্লপ। এ ডাচ মিডফিল্ডার বার্সার আশা শেষ করে দেন জোড়া গোল করে।
প্রথমে ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন, দুই মিনিট পর শাকিরির ক্রসে মাথা ছুঁয়ে নিজের জোড়া ও দলের তৃতীয় গোলটি আনেন উইনালডাম। বিদায়ের শঙ্কায় পড়া বার্সার কফিনে তখন শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ওরিগি। ৭৯ মিনিটে গোল করেন। তাতে আগামী ১ জুনের ফাইনালে অলরেডরা। দ্বিতীয় সেমিতে টটেনহ্যাম হটস্পার ও আয়াক্সের মধ্যকার বিজয়ী দল হবে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ।