বাবুল সুপ্রিয়’র গাড়ি ভাঙচুর

30

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। সোমবার সকালে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় বারাবানিতে একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে বিজেপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার ভারতের ৯ রাজ্যের ৭২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এদিন মহারাষ্ট্রের ১৭টি আসনে, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের ১৩টি করে, পশ্চিমবঙ্গের আটটি, মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যার ছয়টি করে, বিহারের পাঁচটি, ঝাড়খন্ডের তিনটি এবং জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ আসনের একটি অংশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল। অভিযোগ ওঠে, কিছু বুথে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক এমনই অভিযোগ ওঠে আসানসোলের বারাবানির একটি বুথ নিয়েও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বারাবানির কাশিডাঙা এলাকায় ১৯৯/২৮৩ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছিল। বিজেপি নেতারা অভিযোগ তোলেন, তাদের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে জাল ভোট দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ওই বুথে বিজেপির এজেন্টই ছিল না।
খবর পেয়ে ওই বুথে যান আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তার বিরুদ্ধে আবার পাল্টা অভিযোগ উঠেছে, বুথের ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের এজেন্টকে ধমক দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর বাবুল বুথ থেকে বের হতেই তার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাবুল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী এবং বুথে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই উত্তেজনার মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা বাবুলের গাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গাড়ির পিছনের দিকের কাঁচ ভেঙে গেছে।
পরে বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে একটা জায়গায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু সেটা আমি হতে দেব না। আমি সব জায়গায় ঘুরব।’ তার বিরুদ্ধে তৃণমূল এজেন্টকে হুমকির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন বাবুল। অবশ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি দফতর।
অন্য দিকে বাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনারও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে বহরমপুরের একটি বুথেও কংগ্রেসের এক এজেন্টকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়েই সেখানে যান কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই এজেন্টকে বুথে বসান তিনি।