বাবা রাজনীতিবিদ পরিচয়ই বেশি পছন্দ করতেন

49

আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের এমপি ও ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেন, আমার বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর দেখানো পথে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে প্রবেশ করতে শুরু করে। আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবু একজন বড় মাপের ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বাবা জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও দল, নেত্রী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে একবিন্দু বিচ্যুত হননি।
গতকাল শনিবার বিকালে উপজেলার শিকলবাহা ক্রসিংয়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের
উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে এরশাদ আখতারুজ্জামান বাবুকে লোভ দেখিয়ে তাদের দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লোভে না পড়ে জেলকে তিনি সাথী করেছিলেন। এ কারণে তিনি নেতাকর্মীদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন। তার প্রমাণ মেলে বাবুর মৃত্যুর পর নামাজে জানাযা দেখে। চট্টগ্রামে তার জানাজা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এরচেয়ে বড় আরকি হতে পারে।
দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়েরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সহ সভাপতি এম.এ হাশেম, শাহেদুর রহমান শাহেদ, সেলিম হোসেন, নুরুল আবছার তালুকদার, মিজানুর রহমান সেলিম, তৌহিদুর ইসলাম, মোশারফ হোসেন, আবু বক্কর, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, হারুনুর রশিদ, আবদুল মালেক খান, সোহেল মোহাম্মদ মনজু, এম.এ কাইয়ূম, এড. মোহাম্মদ ফয়েজ চৌধুরী, হুমায়ূন খান, যুগ্ম সম্পাদক জাফর ইকবাল, এড. খাইরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার সনাতন চক্রবর্তী বিজয়সহ উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
ভ‚মিমন্ত্রী আরো বলেন, আমার প্রয়াত পিতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু তার জীবনের শেষ মুহূর্তেও দলের জন্য লড়াই করে গেছেন। সারাটি জীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এমন পিতার সন্তান হিসেবে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। বাবার পরিচয়ে পথ চলি, বাবার আর্দশকে লালন ও ধারণ করি।