‘বাবাকে মারিনি মিথ্যা বলায় আত্মহত্যা’

27

‘বাবাকে মারিনি, মিথ্যা বলায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি’- এমন একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করলেন পটিয়ার চন্দন চৌধুরী (৩৫)। পটিয়াস্থ তার শ্যালিকার শ্বশুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। চিঠিতে তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখাশুনা ও তাদের মানুষ করার জন্য এবং আসন্ন পূজার জন্য চাঁদা দেয়ার প্রয়োজনে নিজের দোকান বিক্রি করার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাওনা টাকা আদায়, দেনা পরিশোধের নির্দেশনা ও দিয়েছেন চিরকুটে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার পুলক দে’র বাড়িতে চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
আগে গত মঙ্গলবার নিজের বাবা মন্টু চৌধুরীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ ওঠে চন্দন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে মন্টু চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা মন্টু চৌধুরীর পরিবারে গত কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। মন্টুর ছেলে চন্দন তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর চন্দন বাড়ি থেকে পালিয়ে পটিয়াস্থ শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার পর বসতঘরের একটি রুমের ফ্যানের সঙ্গে রশি লাগিয়ে চন্দন আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে কয়েকপাতার একাধিক চিরকুট লিখে গেছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাহাদুর খাদেমী জানিয়েছেন, চন্দন তার বাবাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার পর পটিয়ায় পালিয়ে যায়। আত্মহত্যার আগে কয়েকটি চিরকুট লিখে গেছে। যা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাব্বারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে চন্দন চৌধুরী কয়েকটি চিরকুট লিখে গেছেন। এতে তার মৃত্যুর কারণও লিখেছেন।