বানভাসিদের জন্য সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল : রিজভী

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য অর্থ ব্যয় না করে তা বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল রবিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। অথচ সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় প্রায় কোটি পানিবন্দি মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। বন্যার্তদের জন্য সরকার ১০০ টন চাল, ৩০ লাখ টাকা আর ৫ হাজার টাকার শুকনো খাবার দিয়েছে। এই পর্যন্ত তারা বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন ৬০ লক্ষ টাকা। তার মানে জনপ্রতি দেড় টাকা। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট স্থাপন করতে যে খরচ হবে তার ১০ ভাগের একভাগও বরাদ্দ পায়নি বন্যার্তরা’।
দুর্যোগকালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসব বন্ধের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, পদ্মা সেতুর নিয়ে উৎসব বন্ধ করুন, এই লোকদেখানো ফুটানি বন্ধ করুন। আমরা দাবি করছি, বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোকে দুর্গত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হোক এবং কোনো বিলম্ব ছাড়া এই অঞ্চলগুলোতে জনগণের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হোক’।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিএনপির কার্যক্রম সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্ব স্ব জেলার নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে সিলেট মহানগর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ যেসব জেলায় বন্যার পানি উঠেছে, বন্যা উপদ্রæত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে; সেই সমস্ত জেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্তে কাজ করে যাচ্ছে’।
বন্যার মধ্যে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যাপক আয়োজনের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘পদ্মাসেতুর উৎসবে আতশবাজি আর ঝলসানো আলোর যে ব্যবস্থা করা হয়েছে- এই ধরনের রসিকতা জনগণের সাথে একমাত্র স্বৈরশাসকদেরই মানায়’। খবর বিডিনিউজের
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব।