বান্দরবানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না

27

বান্দরবানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনে মুদির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল রবিবার সকাল থেকে বান্দরবান সদর ও লামা পৌর এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনা-বেচার সুবিধার্থে মুদির দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব মুদির দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে লকডাউনে ঔষধের দোকান ব্যতীত মাছ বাজার, কাঁচাবাজারের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ চলাচলও। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ জুন থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভায় চলছে ২১ দিনের লকডাউন।
এদিকে, চলমান লকডাউনে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরত্বের সরকারি নির্দেশনা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় তেমন গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানায় লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যান্য সাধারণ সময়ের মতোই মানুষ ঘোরাফেরা করছেন এবং বাজার-সদাই করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ মানুষকেই মুখে মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, করোনা ভাইরাসে বান্দরবানে প্রচুর জনসাধারণ আক্রান্ত হয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভাকে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা। এই জেলায় বেশিরভাগ জনসাধারণ পর্যটন নিয়ে ব্যবসা করে তাদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করে। তবে করোনার এই সময়টা বান্দরবান সদর লকডাউন হয়ে যাওয়ায় এবং করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবানে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে আমরা বান্দরবানের লকডাউনে থাকা হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি এবং আগামিতে ও এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।