বান্দরবানে বানের পানি কমছে

46

গতকাল ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে। এতে সদরের সাথে জেলার ছয় উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া বাজালিয়া এলাকা অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। নৌকায় পারাপার হয়ে বান্দরবান ও চট্টগ্রামগামী লোকজন চলাচল করেছেন। তবে গতকাল ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বান্দরবান-রাঙামাটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়-রাঙামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে গতকাল সাঙ্গু নদীতে উজানের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, উজানীপাড়া, শেরে বাংলা নগর, কাশেম পাড়া, বাস স্টেশন এলাকা, হাফেজ ঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শুক্রবার ভারী বর্ষণ না হওয়ায় পাহাড়ী ঢলের পানি কমতে শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ নি¤œাঞ্চল থেকে পানি প্রায় নেমে যায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাহাড়ের পাদদেশ ও নি¤œাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া স্কুলগুলোতে দুর্যোগকবলিত মানুষদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, বন্যা ও দুর্যোগে যেকোন ঝুঁকি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। পুরো জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে ১২৬টি। আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।