বান্দরবানে পুলিশের এএসআই’র সাড়ে ৪ মাসের সাজা

23

বান্দরবানে মাদকের মামলায় নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর দায়ে পুলিশ কর্মকর্তার সাড়ে ৪ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল আদালত। একইসঙ্গে দুটি মামলায় অর্থদন্ডও দেওয়া হয় তাকে। গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) আবুল খায়ের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়িত্বরত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মামলা নং-৩/১৮ এবং ২০ আগস্টের ১৩/১৮ দুটি মাদক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুটি মামলায় আসামিদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের। পরবর্তীতে মামলা দুটি দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি ও সাক্ষীদের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের কর্তৃক তথ্য গোপন এবং প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ও লিখিত ব্যাখা চান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) আবুল খায়েরসহ অন্যান্য সাত পুলিশ সদস্য আদালতে হাজির হয়। আদালত পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল খায়ের এর লিখিত মতামতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় জিআর ৩০৭/১৮ মামলায় ১৫ দিন সাজা ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং জিআর ২৮০/১৮ মামলায় চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়াও উক্ত দুটি মামলায় আরও ৬ জন পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করেছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার এলাকায় বলে জানা গেছে।
বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. শামীম হোসেন জানান, দুটি মামলায় আসামিদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। আসামি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় সাড়ে ৪ মাসের কারাদন্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বান্দরবানের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আপীল করেন। আদালত আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন মঞ্জুর করে পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের’কে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেওয়ার আদেশ দেন।