বাণিজ্য ইস্যুতে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের

31

বাণিজ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে। শনিবার এক ফোন কলে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন এবং দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার এই ফোন কলে অংশ নেন। সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ ফোনালাপকে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ফোনালাপে প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য মৌলিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশই সংলাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কয়েক মাস ধরে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের সময়ে আরোপকৃত শুল্ক ধাপে ধাপে প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। তবে এতে নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, দুই দেশের একটি অন্তর্র্বতীকালীন চুক্তির বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। চীনা মোবাইল, ল্যাপটপ ও খেলনায় উল্লেখযোগ্য শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিমাণ ১৫৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাও ফেং বলেন, যে কোনও চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল শুল্ক প্রত্যাহার। বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপে পৌঁছানোর জন্য উভয় দেশকেই ধাপে ধাপে কিছু মাত্রায় শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধ হয়েছে এবং শুল্ক প্রত্যাহারেই এর সমাপ্তি হওয়া উচিত।

তিনি জানান, বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপের জন্য উভয় দেশ শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। বলেন, গত দুই সপ্তাহে উভয় দেশের শীর্ষ মধ্যস্থতাকারীরা সঠিক উপায়ে কিছু মৌলিক উদ্বেগ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। উভয় পক্ষই বিভিন্ন ধাপে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারে একমত হয়েছেন এবং আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে কবে এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে সেই বিষয়ে মুখপাত্র কিছু বলেননি।