বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিতে প্রেরণা জোগাবে মুজিববর্ষ

50

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ এমপি বলেছেন, মুজিববর্ষ বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগাবে। স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মুক্তিরও স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে পৌঁছাতে হলে আমাদের অবশ্যই তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা আরও ছড়িয়ে দিতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আবৃত্তি সংগঠন ‘তারুণ্যের উচ্ছ¡াস’ এর প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব সরকার। দেশিয় সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে সরকার নানামুখী উদ্যোগ ও প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। একসময় পাড়া মহল্লাকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তৃণমূল থেকেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম ও সৃজনশীলতার বীজ বুনে দিতো। আত্মকেন্দ্রিকতা ও পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতায় এসব সংগঠন হারিয়ে যাচ্ছে। আবৃত্তি, নাটক, সংগীতসহ অন্যান্য শিল্পমাধ্যমকে ঘিরে শহরকেন্দ্রিক সংগঠনগুলোকে দ্বায়িত্ব নিয়ে সাংগঠনিক সংস্কৃতি চর্চা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এসময় তারুণ্যের উচ্ছ¡াসের প্রশংসা করে মন্ত্রী সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ বলেন বলেন, তারুণ্যের উচ্ছ¡াস তাদের একযুগপূর্তিতে গত বছর ধারাবাহিক ১২টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং আজ তার সমাপনী আয়োজন। আবৃত্তি শিল্পের প্রতি তথা সংস্কৃতি চর্চার প্রতি তাদের এই নিষ্ঠাকে সাধুবাদ জানাই। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস বিগত সময়ে চট্টগ্রামের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এবং দেশের বাইরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আমন্ত্রিত হয়ে আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রশংসিত হয়েছে এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তাদের এই অর্জনের জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সভাপতি কবি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কবি ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ জোবায়ের এবং চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। এরপর অনুষ্ঠানের বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আবৃত্তি বিভাগ, বোধন আবৃত্তি পরিষদ ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে অভ্যুদয় সঙ্গীত অঙ্গন এবং দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি নৃত্য বিভাগের শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, আবৃত্তি সংগঠন ‘তারুণ্যের উচ্ছ¡াস’ প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উপলক্ষে ২০১৯ সালে বছরব্যাপী যুগপূর্তি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। গত এক বছরব্যাপী উৎসব, সেমিনার, একক আবৃত্তি, শতকন্ঠে কবিতা, গান কবিতার যুগলবন্দি প্রযোজনাসহ ধারাবাহিকভাবে যুগপূর্তির ১২টি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারুণ্যের উচ্ছ¡াস।