বাঙালিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত এখনও চলছে

40

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঊষালগ্নে পরাজয় নিশ্চিত হওয়ায় বাঙালিকে মেধা-মনন শূন্য করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় রাজাকার আলবদর-আলসামস বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এই নীলনকশার মূলহোতাদের বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আদালতের রায় অনুযায়ী ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে দায়মুক্ত করেছেন। তবে, বাঙালিকে মেধাশূন্য করার জন্য এখনো চক্রান্ত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করে তাদের চরিত্রহননের অপচেষ্টা চলছে।
গতকাল শনিবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে আমাদের আগামী ও ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে হবে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসররা কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো তৈরি হয়নি। তবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রাথমিকভাবে এক হাজারেও বেশি। এর মধ্যে আছেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ডাক্তার, চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীরা। এরা আমাদের শ্রেষ্ঠ মানবসম্পদ। আমি সরকারের কাছে আহবান জানাই বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত এখনো অনেকে বিদেশে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায়ে প্রদত্ত সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হোক।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা করেছিল বাংলাদেশের জাতিসত্তার অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে। বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধে যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই ইতিহাসের এই ভয়াবহ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে হবে- কোন উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ নতুন প্রজন্মকে পরিকল্পিতভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বিপথগামী করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সাহসী লড়াই অব্যাহত রেখেছেন তার সাথে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
এসময় শহীদ মিনার প্রঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, এড. শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, বখতিয়ার উদ্দিন খান, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমদ, ছিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এ এস এম ইসলাম, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মিথুন বড়ুয়া, জামাল উদ্দিন, আবদুর সাকুর ফারুকী, আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ মাসুক প্রমুখ।