বাংলা সাহিত্যে বহুমাত্রিক সৃষ্টির জন্য হুমায়ুন আহমেদ চিরস্মরণীয়

33

ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা শতাব্দীর জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম, আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ, জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি এম নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শওকত ইমরানের পরিচালনায় লালদিঘীর পাড় আমানিয়া হোটেল হলে ‘বাংলা সাহিত্যে হুমায়ুন আহমেদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিদা আকতার জাহান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। কিন্তু তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। ‘নন্দিত নরকে’ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস। সত্তর দশকের এই সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প উপন্যাসের অপ্রতিদ্ব›দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট ‘হিমু’ এবং ‘মিসির আলি’ ও শুভ্র চরিত্র বাংলাদেশের যুবক শ্রেণীকে দারুনভাবে উদ্বেলিত করেছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে ডা. রতন কুমার নাথ বলেন, মানুষের মনের প্রত্যাশা পূরণে সমাজের ক্ষতগুলো জাতির সামনে উপস্থাপনে এবং ইহার প্রতিকার নির্ণয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে হুমায়ুন আহমেদের দূরদর্শী লেখনী চিত্রনাট্য চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. এ কে এম ফজলুল হক সিদ্দিকী বলেন, জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ নাটকের মাধ্যমে অভিনব পন্থায় সামাজিক কিছু বিষয় যেমন- মিথ্যা না বলা ও পুষ্টি সংরক্ষণের জন্য সপ্তাহে একদিন মাছ না খাওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলে ‘তুই রাজাকার’ একটি সংলাপ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ ডা. চন্দন দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, এম এ ছালাম, মো. ইলিয়াছ, রোকন উদ্দিন আহমদ, কবি আসিফ ইকবাল, সজল দাশ, সাবেক দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মীর মুজিবুল হায়দার, ডা. উজ্জ্বল কান্তি দে, সালমান শাহাদাত, এস এম হাসান রাজধন, সঞ্জয় দে, বীণা রুদ্র, আঁচল চক্রবর্তী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি