বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়

63

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পথচলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আন্তরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। ফলে সীমান্ত চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধান হয়েছে। ভবিষ্যতেও আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সকল সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করছি। দুই দেশের আন্তরিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আশা করছি এ সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও উন্নত হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সহকারী ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। লুনা ব্যানার্জির উপস্থাপনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে ফজলে করিম এমপি, এমএ লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র আরও বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়াও শিক্ষা, গবেষণা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও ভারত বিশ্বে অবস্থান করে নিয়েছে। ভারতীয় অর্থনীনৈতিক অবস্থানও প্রশংসনীয়। প্রতিবেশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের জনগণ হিসেবে আমরা এতে আনন্দিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্ধিরা গান্ধী বাংলাদেশের মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আমাদের কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা অবিস্মরণীয়। উভয়দেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য, ভাষা-সংস্কৃতি ও অন্যান্য দিক দিয়ে ঐতিহ্যগতভাবে পরমাত্মীয়। চট্টগ্রামসহ পুরো বাংলাদেশের সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আজীবন বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের উন্নতি এখন বিশ্বের উদাহরণ। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করায় স্বল্প উন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের এ অগ্রগতিতে আমরা ভারতবাসী আনন্দিত। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে ভারত সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বিগত বছরগুলোতে আমরা বাণিজ্যিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করছি।
অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র মনজুর আলম মঞ্জু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী, প্রো-ভিসি ড. শিরিন আকতার, ড. সিকান্দার খান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সহ সভাপতি খোরশেদুল আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।