বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভা

75

অমর একুশে বাংলা ভাষার স্মৃতি বিজড়িত ফেব্রুয়ারির বিদায় লগ্নে মহান স্বাধীনতার মার্চ মাসকে স্বাগত জানিয়ে র‌্যালি, কবিতা পাঠের আসর ও আলোচনাসভা ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিহাস গবেষক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় এই সভায় কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভারতীয় বিশিষ্ট কবি যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও কথা সাহিত্যিক কবি কনিকা দাশ, ভারতীয় লেখক ও কবি দুলাল গোবিন্দু সরকার, কবি শ্যামলী সেনগুপ্ত, কথা সাহিত্যিক তাপসী পাল, কবি সুনীল চক্রবর্তী, কবি শিখা চৌধুরী, প্রাবন্ধিক কাবেরী বিশ্বাস, কবি দেবযানী সেনগুপ্ত, কোয়েলী গাঙ্গুলী, কবি শিবদাশ মুখার্জী, অধ্যাপক ড. মিনা মুখার্জী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষা গবেষক ড. এম এ মোক্তাদীর, কবি নাছিমা রহমান শিউলী, কবি নুরুন নাহার বেগম, মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জীতেন্দ্রলাল বড়–য়া, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নুরুল আলম, ছড়াকার নাছির বিন ইব্রাহিম, সাফাত বিন সানাউল­াহ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুচ কুতুবী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লিটন চক্রবর্তী, ছড়াকাল বাবুল পাল, রুবেল বড়–য়া, হ্যাপি দাশ, ডা. অঞ্জন রায়, অমর কান্তি নাথ, মোহাম্মদ কায়সার উদ্দিন, সাগর বড়–য়া, আলাউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মিল্টন বড়–য়া, উদয়ন বড়–য়া, পাবেল বড়–য়া, অজয় নাথ, বিপুল কুমার চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, শাহ নুর আলম, তৌহিদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ নুর হোসেন প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেছেন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগীত শিল্পী, সুরকার, গীতিকারদের অবদান অপরিসীম। তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশপ্রেমিকরা অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীনের জন্য এগিয়ে এসেছেন। কালজয়ী কবিতা, কালজয়ী সাহিত্য, কালজয়ী গান, কালজয়ী নাটক ও সিনেমা সেদিন বাঙালী জাতিকে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে কবি, সাহিত্যিক ও সংগীত শিল্পীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রেরণামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে, সেই সময়ের যুব সমাজকে গান, কবিতা, নাটক, সিনেমার মাধ্যমে অধিকারকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে প্রেরণা জোগান। একেকটি গান, একেকটি কবিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে ঘর থেকে রাজপথে এনেছিলেন। সভায় বক্তারা স্বাধীনতার সময়ের মহান কবি সাহিত্যিকদের অবদানকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। সভা শেষে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি