বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে আজ

41

ব্যক্তিগত অর্জন ছাড়া নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আর কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। সিরিজ জয় দূরে থাক, ২০০৭ সাল থেকে আজ অব্দি তিনবার তাসমান সাগরের দেশ সফরে গিয়ে একটি ম্যাচেও জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি লাল সবুজের দল। এবার কী সেই বিস্মৃতি ঘুঁচিয়ে বীরত্ব গাথা নিয়ে নিয়ে দেশে ফিরবে মাশরাফি বাহিনী? আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় নেপিয়ারে শুরু হওয়া সিরিজটি নিয়ে দেশ ছাড়ার আগে কঠিন চ্যালেঞ্জের আভাস দিয়ে গেছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার পেছনে কারণ অবশ্য দুটি। প্রথমটি দলের অন্যতম প্রধান সেনানি সাকিব আল হাসান নেই। আর দ্বিতীয়টি, কিউদের বিরুপ কন্ডিশন। যা দলপতি মাশরাফিকে বারবারই নিজেদের পশ্চাতপদতা মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং সিরিজটিকে করে তুলেছে কঠিন থেকে কঠিনতর।
‘এটাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না সাকিব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকবার সাকিব ছাড়া খেলতে গিয়েছি আমাদের কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো, তারপর সাকিবকে হারানো আরো বেশি চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল।’
এমতাবস্থায় একটি জায়গায় স্বস্তি হাতড়ে ফিরছেন লাল সবুজের এই দলপতি। সেটা হলো এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছিলেন দুই টাইগার পারফর্মার; সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তাদের ছাড়াই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিলো কোচ স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। সেই স্মৃতিই মাশরাফিকে আসন্ন এই লড়াইয়ে আশাবাদী করে তুলছে। ‘তারপরেও যারা আছে, তাদেরকে নিয়ে এশিয়া কাপেও এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলেছি। অতএব আমার ইতিবাচক চিন্তা করেই মাঠে খেলতে হবে।’ কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের ওয়ানডে দ্বৈরথের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে মাশরাফির এমন ইতিবাচক ভাবনাকে স্পর্ধা বলেই মনে হবে। রঙিন পোশাকে এর আগে ৩১ বার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে ২১টি ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড, আর বাংলাদেশ জিতেছিল ১০টি ম্যাচে। জয় পাওয়া ১০ ম্যাচের ৮টিই এসেছে দেশের মাটিতে। আর বাকি দুটি জয়ের একটি ছিল ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে আর অপরটি কার্ডিফে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।