‘বাংলাদেশ এখনো পেশাদার স্ট্রাকচারে আসতে পারেনি’

35

স¤প্রতি উন্নতির ছাপ রাখছে বাংলাদেশের ফুটবল। সর্বোচ্চ লিগে প্রতিদ্ব›িদ্বতা বাড়ছে। জাতীয় দলেও তার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে অবকাঠামো থেকে শুরু করে অর্থায়ন কোনো কিছুতেই সেই অর্থে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেনি দেশের ফুটবল। আক্ষরিকঅর্থে বলতে পুরোপুরি পেশাদার হতে পারেনি বাংলাদেশ। তথাকথিত পেশাদারিত্বের ছায়ায় ‘অপেশাদার’ রয়ে গেছে।
ক্লাবগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা তো আছেই। পেশাদার হতে একটি সর্বোচ্চ ক্লাবের যা যা দরকার তার অনেক কিছুই পূরণ করতে ব্যর্থ সর্বোচ্চ লিগের ক্লাবগুলো। ক্লাব সংস্কৃতি বলতে যা বোঝায় তার সিকি ভাগও পূরণ হওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। নিজস্ব মাঠই নেই অনেক ক্লাবের! যে মাঠকে হোম ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করতে পারবে ক্লাবগুলো। ক্লাবের অর্থায়ন আসে বিভিন্ন অনুদান থেকে। ক্লাবের ফুটবলে পৃষ্ঠপোষক নেই সেই অর্থে। গড়ে উঠেনি কনক্রিট ফুটবল অবকাঠামো। লিগ পেছানোর সংস্কৃতিতো আছেই। নেই কোনো স্থায়ী পঞ্জিকাবর্ষ।
যে কারণে বাংলাদেশ যে এখনও সেই অর্থে পেশাদার হয়ে উঠতে পারেনি। এই কথা বহুবার উচ্চারিত হয়েছে। গতকাল এই কথা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। অর্থায়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত দিক থেকে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাফুফে সভাপতি জানালেন, ‘আমরা এখনও পেশাদার স্ট্রাকচারে আসতে পারিনি। হোম স্টেডিয়াম হবে। স্ট্রাকচার হবে। কোম্পানি ইনভেস্ট করবে। হোম ম্যাচে গেট মানি সুবিধা করতে পারে। কিছুই হয়নি এখনও।’ সামনের মৌসুমের দলবদলের নিবন্ধন কার্যক্রমের একটা পর্যায়ে বাফুফে বস এসব কথা বলেন।