বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা আত্মদান করেছিল মুক্তবুদ্ধির ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য

71

চুয়েট : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৮ উপলক্ষ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত কনফারেন্স হলে আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূইয়াঁ, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। মানবিক বিভাগের প্রভাষক জনাবা নাহিদা সুলতানা এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হল প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফীন, কর্মকর্তা সমিতির প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী ও কর্মচারী সমিতির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মো. আব্দুল আল হান্নান। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নিহতের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, স্বাধীনতা যে কোন জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একটি সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ নিরস্ত্র বাঙালির জন্য অবিশ্বাস্য ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারিশম্যাটিক নেতৃত্বে সেটা সম্ভব হয়েছে। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যারা সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার সক্ষমতা রাখেন তাদেরকে হত্যার মিশনে নামে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ভিশন থেকে পিছিয়ে দিতে পারেনি। আজ আমরা উন্নত ও সম্মৃদ্ধশালী বাংলাদেশের পথে হাঁটছি। তাই আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গড়ায় অবদান রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে উন্নত ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মিশনে তরুণদের অবদান রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট মহানগর শাখা : বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যেগে বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হক বাবুর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা গত ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ মহানগর শাখার উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌস, যুব মহিলালীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভানেত্রী সাইরা বানু রুশনি ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ রাসেলের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক সেলিম আক্তার পিয়াল, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খান, হাজী আবু সিদ্দীক, এড. আবু আনিস খান, মাসুদুর রহমান মাসুদ, জালাল ইব্রাহীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাবেদ হোসেন, মো. আব্দুল হালিম, রাশেদুল আরেফিন জিসান। অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাফর আলম রবিন, সাঈদ মিশু, রফিকুল আলম, আবু সাহাদাত চৌধুরী, এস.এ ইমন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের মাধ্যমে পাকবাহিনী চেয়েছিল বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দিতে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আজ দু:স্বপ্ন পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রামের উদ্যোগে গত ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সংগঠনের সভাপতি লায়ন জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লিপটনের পরিচালনায় পালন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন পূর্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, হত্যার মধ্য দিয়ে মানুষের মৃত্যু হয়, কিন্তু জ্ঞান-আদর্শ ও চেতনার মৃত্যু হয় না। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধ তরান্বিত হয়েছে। তাদের দেশপ্রেম ও আদর্শ চিরঞ্জীব হয়েছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা আত্মদান করেছিল মুক্তবুদ্ধির ও অসম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বাংলাদেশের জন্য। এদেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চা গণতন্ত্রের যাত্রা ও অসম্প্রদায়িক চেতনায় অব্যাহত থাকলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মদানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের দু’দিন পূর্বে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও এদেশীয় পাকিস্তানীদের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সুপরিকল্পিত চক্রান্তে নির্মমভাবে শহীদ হন দেশের পতিথযশা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত হয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বিশ্বের মানচিত্রে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে বিজয় হলে। তাই আসুন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নকে পূরণের লক্ষ্যে নতুন প্রজন্ম সহ তথা বাংলাদেশের সকল জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানী দোসর গং ঐক্য ফ্রন্টকে পরাজিত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমাদের মূল্যবান ভোটটি ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করি। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতি, সংগঠনের সহ-সভাপতি কণ্ঠশিল্পী স্বপন কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, মহিলা বিসয়ক সম্পাদক কাকলী দাশগুপ্তা, সহ-সংগীত বিষয়ক সম্পাদক সুকুমার দে, সহ-নাট্য বিষয়ক সম্পাদক অভিনেতা ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য, কন্ঠশিল্পী রেখা বড়ুয়া, কণ্ঠশিল্পী হেপী দাশ, কণ্ঠশিল্পী শিউলী দে, রোজি চৌধুরী, সমীরণ পাল,কানিজ ফাতেমা, ইসরাত জাহান, সাদিয়া আক্তার, রহিমা হোসাইন, নাসরিন সুলতানা, উম্মে সায়মা খেয়া, রোমানা আক্তার, তাসনিমা, মো. জাকির, জাফর ইকবাল, পুষ্পা, বর্ষা চাকমা প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের স্মরণে আলোচনা সভা গত ১৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফজল আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর আবিদা আজাদ। বঙ্গবন্ধু একাডেমির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব দাশগুপ্তের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিঞা, মুক্তিযোদ্ধা দয়াল হরি দে, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবু তাহের, সৈয়দ দিদার আশরাফী, আলী আহমেদ শাহিন, মোহাম্মদ এজাহারুল হক, প্রবণরাজ বড়–য়া, কাজী মোহাম্মদ আইয়ূব, রোজী চৌধুরী, ইউনুস মিঞা, মো. তিতাস, জামাল উদ্দিন কান্টু, ফারুকুল ইসলাম, আবদুল হান্নান হীরা, সালমা আকতার শীলা, ফারহানা শান্তা, রিয়ান রাজু প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পুুরো সময়টুকুতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জ্ঞানীগুণী ও মুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, পাকিস্তানি দোসরদের অমানবিক নির্যাতনে অনেক শিক্ষাবিদ এখনো পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন। বক্তারা বলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার বাংলাদেশের হয়েছে এর সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইননের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন অতিবগুরুত্বপূর্ণ। দেশরতœ শেখ হাসিনার উন্নয়ন সমৃদ্ধির বাংলাদেশকে ব্যাপকতরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীকের ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে ক্ষমতায় বসাতে পারলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্মরণ সভা সমাপ্তি ঘটে। বিজ্ঞপ্তি