সরকারের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জনগণকে তার প্রতি আস্থা রাখার আহŸান জানিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে কোন প্রকার ছাড় না দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করেছে। যার মাধ্যমে এশিয়াসহ পৃথিবীর বহু দেশকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছু ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল অধ্যায় হয়ে থাকবে। বলা চলে এটি উন্নয়নের রোল মডেল। এ সরকারের অধীনে দেশ স্থিতিশীল রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা, জঙ্গি দমন, মাদকবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে চমক দেখিয়েছে সরকার। এই উপমহাদেশে কোন শাসকদল দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজ দলেরর নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেনি। যা শেখ হাসিনা সরকার করেছে এবং বিশ্বময় বাহবা পেয়েছে। বর্তমানে দেশে জিডিপির ৮.১৫, প্রবৃদ্ধির হার ৫.০৪। বেড়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। রেমিটেন্স এসেছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪৬.৮৮ বিলিয়ন। দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৭২ বিলিয়ন। সরকার সমুদ্র সিমা বাড়িয়েছে, বিনামূল্যে বই বিতরণ ছাড়াও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
২৬১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও ১৪২০০০ শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণ করা হয়েছে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে মহাকাশ যুগে প্রবেশ করেছে। আগামীতে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের নভোচারীরা। বিদ্যুৎ পাচ্ছে ৯৫% মানুষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতুর কাজ দ্রæত বাস্তবায়নের পথে। বেড়েছে গড় আয়ু ৭৩ বছর ৪ মাস। সামনের বছর ঢাকায় চালু হবে মেট্রো রেল।
এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য চাই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। অন্যথায় ব্যাহত হবে এই মহা উন্নয়ন। ব্যাহত হবে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবার স্বপ্ন। তাই জনগণকে সর্বাত্মকভাবে উন্নয়ন কর্মকাÐের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। কোন বিশৃঙ্খলা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা জঙ্গিবাদকে আসকারা দেয়া যাবে না। সরকারকেও যুক্তিসম্মত বিরোধী দলের সুমতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পরমত সহিষ্ণুতা ও গণতান্ত্রিক মনমানসিকতা সকলকে দেখাতে হবে।
মুজিববর্ষে জাতির জনকের স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে সকলের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।