বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল ৬ খাত শনাক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

45

তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের বাইরে কৃষি বাণিজ্য (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ), স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- আউটসোর্সিং, হালকা প্রকৌশল, ওষুধশিল্প এবং পর্যটনকে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল খাত হিসেবে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নতুন গতি সঞ্চারে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশি বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএআইডির বিশদ বেসরকারি খাত মূল্যায়ন (পিএসএ) কৃষি বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল, ওষুধশিল্প এবং পর্যটনকে তৈরি পোশাক খাতের বাইরে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল খাত হিসেবে শনাক্ত করেছে।
বাংলাদেশি বেসরকারি খাত বিষয়ক কনসালটেশন প্রতিষ্ঠান ইনসপিরা অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে এই পিএসএ পরিচালিত হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে। এতে মোট ১৬টি প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনাময় খাত নিরীক্ষা করা হয়। এই তালিকায় আরও ছিল সিরামিকস, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, চিকিৎসা সামগ্রী, প্লাস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা, জাহাজ নির্মাণ, চিংড়ি ও মাছ, টেলিযোগাযোগ এবং মোটরগাড়ি সংযোজন। পরে এই মূল্যায়নে পুরো জ্বালানি খাতসহ কিছু গতানুগতিক শিল্প খাত বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। খবর বাংলানিউজের
পিএসএ’র ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করায় সহায়তা করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ইউএসএআইডি ও অন্যান্য বিভাগের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই পিএসএতে শনাক্ত অগ্রাধিকার খাতগুলোকে বিশ্লেষণ করবে। এসব খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কৌশল অনুসন্ধান করবে দেশটি। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি উন্মোচন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশন উপ প্রধান জোঅ্যান ওয়াগনার।