বাঁশখালী পৌরসভার অনিয়ম তদন্ত হচ্ছে

33

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গা ঠেকাতে বেশকিছু কাগজপত্র দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে প্রত্যয়নপত্র। বাঁশখালী পৌরসভায় এ প্রত্যয়নপত্র নিতে প্রতি ভোটারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ২০০ টাকা। এ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পৌরমেয়র নিজেই আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘পৌরসভায় প্রত্যয়নপত্র দেয়া নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্তে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিবেদন দিলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে পৌরমেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার দুইজন কর্মচারী বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত করতে একজন কর্মকর্তা এসেছিল। তিনি কথাবার্তা বলে চলে গেছেন। যতটুকু জেনেছি প্রত্যয়নপত্র বাবদ আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় এ তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের বিষয়টি মেয়র জানতে পেরে টাকা জমা দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। টাকা জমা দেয়ার তারিখ দেখলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে জাতীয়তা সনদ, প্রয়োজনে ওয়ারিশ সনদ, ভূমিহীন সনদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যয়নপত্র নিতে পৌরসভার কাউন্সিলরদের সুপারিশে পৌরমেয়র কর্তৃক প্রত্যয়ন নেয়ার বিধান রাখা হয়। পৌরসভার ২৫৩০ জন নতুন ভোটারকে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়। এ প্রত্যয়নপত্র দেয়া বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়। আদায়কৃত পাঁচ লক্ষ ছয় হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। যা নিয়ে কোনও বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্তে গত ২০ আগস্ট একজন কর্মকর্তা পৌরসভায় গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার ওমর ফারুক পূর্বদেশকে বলেন, ‘ইউএনও স্যার একটি অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযোগটি নিয়ে আমি তদন্ত করেছি। পৌরসভায় বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে এবং এ টাকা জমা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’