বাঁশখালীতে ৩০ কেজির টাকায় ২৬ কেজি চাল!

71

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ৩০ কেজির টাকা নিয়ে চাল দিয়েছে ২৬ কেজি। প্রতিজনকে চার কেজি করে চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার বিতরণকালে চাল কম দেয়ার এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রতিজনকে ৩০ কেজি চাল দেয়ার বিনিময়ে ৩০০ টাকা করে আদায় করে ডিলার দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু চাল পরিমাপ করে দেয়া হয় ২৬ কেজি। অথচ খাদ্য গুদামে ৩০ কেজির বস্তা আছে। ডিলার এসব বস্তা না এনে চাল চুরি করতে ৫০ কেজি বস্তা আনেন। চাল বিতরনে সরকারি কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগ প্রত্যাখান করে ডিলার দেলোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, ৪৫৯ জনকে চাল দিয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ যদি চাল কম পেতো তখন আমাকে বললেই আমি পুষিয়ে দিতাম। ত্রিশ কেজি বস্তা না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে যেমন বস্তা দেয়া হয়েছে, তাই এনেছি।
পিন্টু নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আমি চাল কম দেয়ার প্রতিবাদ করলে আমার কার্ড বাতিল করার হুমকি দেন ডিলার।
সাধনপুর চাল বিক্রি তদারকিতে দায়িত্বে থাকা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, আমি সেদিন না গিয়ে দুইজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম। তারা যতক্ষণ ছিল কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ চাল কম পেয়েছে অভিযোগ দেয়নি। এরপরেও বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নোভেল ভট্টচার্য্য বলেন, ফেসবুকে চাল কম দিয়েছে বলে লেখালেখি দেখেছি। বিষয়টি আমাদের দেখার সুযোগ নেই। এগুলো দেখতে সরকারি কর্মকর্তা আছেন।
এদিকে সরকারের বরাদ্দ ত্রাণ বিতরণ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে সরকারি ট্যাগ অফিসাররা চাল বিতরণকালে অনুপস্থিত থাকায় ডিলাররা অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছেন। ওএমএস ও হতদরিদ্রদের চাল বিতরণকালে সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। কোন কোন স্থানে গরীবের এসব চাল প্রভাবশালীরা ক্রয় করে ফ্রি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।