বাঁশখালীতে সাবেক মেম্বারকে পেটালেন চেয়ারম্যান

32

বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার বিরুদ্ধে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দিতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার সাবেক ইউপি সদস্য বৃহস্পতি চৌধুরী। অভিযোগে তিনটি বেত একসাথে নিয়ে চেয়ারম্যান ২৫ বার বেত্রাঘাত করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মারধরের শিকার সাবেক ইউপি সদস্য বৃহস্পতি চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমাকে ১৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় চৌকিদার মুবিন একটি নোটিশ দেয়। নোটিশে একইদিন ১০টায় হাজির হওয়ার কথা বলা হয়। তখন আমি ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের নকল কপি ও শুনানির জন্য একদিনের সময়ের আবেদন করি। এসময় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সাহেব তার চেয়ারের পাশে থাকা তিনটি বেত নিয়ে আমাকে বুকে, পিঠে, হাতে, উরু, কোমর ও তলপেটে আনুমানিক ২৫টি বেত্রাঘাত করেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বাঁশখালী থানা ও বাঁশখালী আদালতে গেলেও চেয়ারম্যানের তদবিরের কাছে আমি হেরে যাই। এরপর চেয়ারম্যান কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাসহ বাঁশখালী আদালত প্রাঙ্গণে সমঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে আমাকে চাপ সৃষ্টি করলে আমি তা মানতে অপারগতা জানাই। চেয়ারম্যান এখন প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। সে কারণে নিরাপত্তাহীনতায় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নোবেল ভট্টচার্য পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন ভোটার হালনাগাদ কাজে ব্যস্ত ছিলাম। পরে বিভিন্নজনের কাছ থেকে শুনেছি চেয়ারম্যান মহোদয় উনাকে বকাঝকা করেছেন। রাস্তায় মদ খেয়ে ঘুরাফেরা করায় মানুষের অসুবিধা হয়। কয়েকজন এমন অভিযোগ দেয়ায় তাকে বকাঝকা করেছেন। মারধর করেন নাই। তার কাছ থেকে একটি স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে।’