বাঁশখালীতে মিথ্যা মামলায় পিতা-পুত্র খালাস

28

বাঁশখালীতে পিতা-পুত্রকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের ও তদন্তে পক্ষপাত করার অভিযোগে থানা পুলিশের তৎকালীন দুইজন উপ-পরিদর্শক ও একজন সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার বাঁশখালীর যুগ্ম দায়রা জজ মো. মোশাররফ হোসেন এ পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়াও মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া পিতা-পুত্রকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন-বাঁশখালী থানার আওতাধীন রামদাস হাট পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই মো. আলী আক্কাস (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় কর্মরত), মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন সরোয়ার (বাধ্যতামূলক অবসর) ও কালীপুরের সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল আলম।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে কালীপুরের তৎকালীন ইউপি সদস্য শফিকুল আলম পালেগ্রামের মো. শামসুল ইসলাম ও তার ছেলে মো. সোয়েবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার জব্দ তালিকায় দেখানো হয় বাঁশের মাচার ওপর ১৫০ লিটার মদ রাখা ছিল। মিথ্যা মামলার করার বিষয়টি বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে গেলে ধরা পড়ে। কয়েকজন সাক্ষী ঘটনাটি সাজানো বলে সাক্ষ্য দেন। পরে ২০১৪ সালে সংশ্লিষ্ট দুই এসআই ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন উক্ত মামলার আসামি মো. সোয়েব। এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, মাদক মামলার তদন্তে বানোয়াট বিষয় উল্লেখ থাকায় একটি সিআর মামলার প্রেক্ষিতে দুইজন এসআই ও একজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছে। নিয়মানুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।