বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বন্ধ করা অবৈধ গ্যাস স্টেশন ফের চালু

44

বাঁশখালীর চেচুরিয়া বিল এলাকার কাভার্ড ভ্যানে অবৈধ গ্যাস বিক্রির স্টেশনটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো সেটি বন্ধ করা হয়নি। গত ২১ অক্টোবর স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের পরদিন থেকে স্টেশনটি আবারো চালু হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। প্রশাসনের কঠোরতার পরও অবৈধ স্টেশনটি চালু থাকায়, এটি কার ইশারায় চলছে? বলে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তফাজ্জল হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে গিয়ে প্রতিদিন অভিযান চালানো সম্ভব নয়। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় একবার অবৈধ স্টেশনটি বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে। এখন আবার চালু করলে উপজেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। এভাবে তারা স্টেশনটি চালাচ্ছে কিভাবে সেটাই বোধগম্য নয়। তবে এটুকু বলে রাখি আইন অমান্যের শাস্তি আরো কঠোর হতে পারে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস পাম্পটি বন্ধ করা হয়েছে। তারা স্বপক্ষে কিছু কথা বলতে চাইলেও আমি বিস্ফোরক অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেছি। এখন আবার চালু করলেও সেটি আমার জানা নেই। এখন বিস্ফোরক অধিদপ্তর চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদারুল হক পূর্বদেশকে বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে অবৈধ গ্যাস পাম্পটিতে গ্যাস বিক্রি করা হয়। কাভার্ডভ্যানটিতে কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তখন হয়তো প্রশাসনের টনক নড়বে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বন্ধ করার পর স্টেশনটি আবারো চালু করা হয়েছে। অথচ এই স্টেশনের পাশ দিয়েই প্রতিদিন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা চলাচল করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুটি কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডারভর্তি করে সেখান থেকেই মেশিনের মাধ্যমে সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস বিক্রি করা হয়। হবিগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এ গ্যাস বিক্রি করা হলেও কার্যত স্থানীয় দিপেশ চক্রবর্ত্তী নামে এক ব্যক্তি স্টেশনটির মালিক। রাস্তার কাছেই গ্যাস স্টেশনটির অবস্থান হওয়ায় রাস্তার একপাশে দীর্ঘ সারি থাকে সিএনজি অটোরিকশার। যে কারণে পুরো এলাকাটিতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সিএনজি অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, স্টেশনে যে কাভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয়েছে সেগুলো একেকটি বোমা। কাভার্ডভ্যানে সবগুলো গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার। একবার যদি বিস্ফোরিত হয় আশপাশের এলাকায় লঙ্কাকান্ড ঘটে যাবে। সিএনজি স্টেশন দূরে থাকায় ঝুঁকি আছে জেনেও এ স্টেশন থেকে বাড়তি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হই। প্রশাসন বন্ধ করে দিলে অবশ্যই বৈধ স্টেশন থেকেই গ্যাস নিব আমরা।