বাঁশখালীতে ব্যক্তির জায়গা থেকে ইজারার বালু উত্তোলন

21

বাঁশখালীতে জেলা প্রশাসনের ইজারাকৃত বালুমহালের পরিবর্তে ব্যক্তির জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এমন বালু উত্তোলন বন্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে মিস মামলা দায়ের করেছেন মঞ্জুরুল হক চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। আদালত এ বিষয়ে বাদির বক্তব্য শুনে নালিশি ভূমিতে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাঁশখালী থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে ইজারাদার কুতুব উদ্দিন, তোফাজ্জেল হোসেন প্রকাশ পুতু মেম্বার ও ফজল কাদেরকে বিবাদী করা হয়েছে। একই ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে গত ৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
অভিযোগকারী মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘ইজারাদার জেলা প্রশাসনের ইজারা দেয়া বিএস ৬২০ দাগের পরিবর্তে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানিয়েছি। আমি মিছ মামলা করলে আদালত থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে। থানা থেকে বিবাদীকে নোটিশ দিয়েছি শুনেছি। ইজারাদারকে বালু উত্তোলন বন্ধে বারবার তাগাদা দিলেও অন্যায়ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার নিজ জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ ও ড্রেজার মেশিন জব্দে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বালুমহালের ইজারাদার কুতুব উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘দাগের বাইরে বালু তুলছি কিনা বিষয়টি ইউএনও জানে। আমি কিছু জানি না। উনিই ভালো জানবেন। কোন আদেশের কপি আমি পাইনি।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি শুনেছি ১৪৫ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। তবে আমার বরাবর কোন অভিযোগ দেয়নি বা আমার হাতে এখনো আসেনি। এডিএম স্যার উনাদেরকে শুনানির জন্য ডেকেছেন, যা ব্যবস্থা নেয়ার তিনিই নিবেন।’
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ‘বালু মহালের ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। তবে আমার আদালতে যদি মামলা হয়ে থাকে আমি বিষয়টি দেখবো।’
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘১৪৫ ধারার মিস মামলার আদেশের কপি থানায় এসেছে। আমি নোটিশ ইস্যু করেছি।’
জানা যায়, গত ২০ মার্চ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় জঙ্গল পুঁইছড়ির বালুমহালটি ১নং খতিয়ানের ৬২০নং বিএস দাগের ০.৬০ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। কিন্তু ইজারাদার বালু মহালটি ইজারা নিয়ে নির্দিষ্ট দাগের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন স্পট থেকে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ইজারাকৃত জায়গার পরিবর্তে বালু উত্তোলন করায় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘর ছড়ায় ভেঙে গেছে।