বাঁশখালীতে আহত ৩ জেলেদের চাল বিতরণকালে মারামারি

41

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউপিতে মৎস্যজীবীদের মধ্যে চাল বিতরণকালে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন জেলে আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা ও ইউপি সদস্য শওকত আলীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।
অভিযোগে জানা যায়, চাল বিতরণ শুরু হলে প্রথমে ৩০ কেজি করে দুই একজনকে চাল দেয়া হয়। পরে কিছু সময়ের জন্য চাল দেয়া বন্ধ রাখা হয়। উপস্থিত জেলেদের চিৎকারে পুনরায় চাল বিতরণ শুরু হলে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়। সরকারি কর্মকর্তা ও টেক অফিসারের অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করলে জেলেদের মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা। এ সময় হাতাহাতিতে সময় শর্মা, মো. রাশেদ ও আবুল হাসেম নামে তিনজন আহত হন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘মৎস্যজীবী কিছু ব্যক্তি আমার দপ্তরে অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। তারা আমাকে হাল্কা হাতাহাতি হয়েছে বলে জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট টেক অফিসারকে বিষয়টি দেখভাল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। যতটুকু বুঝেছি চাল দিচ্ছে খবর শুনে অনেক মৎস্যজীবী চলে এসেছিল। কিন্তু সবাই একসাথে চাল নিতে যাওয়ায় বিতরনে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। ভুল বুঝাবুঝি থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। চাল বিতরণকালে টেক অফিসার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল বিতরণের বিষয়ে জানানো হয়নি। তবে মৎস্য অফিসের রফিক নামে একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল বলে জেনেছি।’
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে ছোট ভাই পরিচয়ে শাহদাত নামে একজন ফোন ধরেন। এরপর চেয়ারম্যান পরে ফোন করবেন বলে লাইন কেটে দেন তিনি।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নোভেল ভট্টচার্য্য পূর্বদেশকে বলেন, ‘২০ কেজি করে ২৮০জনের জন্য চাল এসেছে। কিন্তু মৎস্যজীবী কার্ড রেজিস্ট্রেশন আছে ৩৬৪ জনের নামে। চাল বিতরণের কথা শুনে সবাই পরিষদে চলে আসে। ২৫০জনকে চাল দেয়ার পর বাকিরা হট্টগোল শুরু করে। এ সময় কয়েকজন মেম্বারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাইরের কিছু লোকের সাথে হাতাহাতি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তারা সবাই পরে ইউএনও ম্যাডামকে অভিযোগ দিয়েছে। টেক অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও উনার একজন প্রতিনিধি চাল বিতরণের মাঝামাঝি সময়ে আসেন।’