বল ভেতরে আনা শিখতে হবে মুস্তাফিজকে : ভাস

75

বল হাতে ছন্দময় অ্যাকশনে ছুটে গিয়ে সুইংয়ের জাদু দেখানোর দিনগুলি আর নেই। চামিন্দা ভাসের হাতে আর্ম থ্রোয়ার। সেটি দিয়ে বল ছুঁড়ে নেটে অনুশীলন করালেন শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের ব্যাটসম্যানদের। অনুশীলন সেশন শেষে মাঠেই হলো টিম মিটিং। তার পর মিলল ভাসের সঙ্গে কথা বলার ফুরসত। সোমবার মিরপুর একাডেমি মাঠে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের অনুশীলন শেষে হোটেলে ফেরার বাসে ওঠার আগে ভাস খানিকটা সময় দিলেন ভাস। আলাপচারিতা জুড়ে থাকল কেবল ভেতরে আনা ডেলিভারি ও মুস্তাফিজ। ভেতরে আনা বলের মাস্টার ছিলেন তিনি। শোনালেন এই ডেলিভারির রসায়ন। ‘অনেকের ক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবেই ক্ষমতা কিছুটা থাকে। তার পর টেকনিক্যাল ব্যাপার তো আছেই। সিম পজিশন নিখুঁত হতে হয়। ফাইন লেগের দিকে নির্দেশ করা থাকবে। সিমের ওপর আঙুল ঠিকভাবে রাখতে হবে। একদম সোজাসুজি। গ্রিপ থেকে শুরু করে অ্যাকশন, রিলিজ পয়েন্টে শরীর, হাত ও মাথার অবস্থান, সব নিখুঁত হতে হবে। এরপর ঠিক লেংথে বল রাখতে হবে।”
“পুরো প্রক্রিয়াই যথাসম্ভব নিখুঁত করতে হবে। যতটা সহজে বলেছি, রপ্ত করা ততটা সহজ নয়। দিনের পর দিনের অনুশীলন করে আয়ত্ত করতে হয়।” বাঁহাতি পেসারদের বড় অস্ত্র এই ডেলিভারিই এখনও সেভাবে রপ্ত করতে পারেননি মুস্তাফিজ। হুটহাট দু একটি বল তার ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে আসে বটে। তবে সেটা যতটা না তিনি করেন, তার চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
“মুস্তাফিজ বেশিরভাগ সময় বল বাইরে নেওয়ার চেষ্টাই করে (ডানহাতির জন্য)। যেটা তার সহজাত অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যায়। কাটার করে প্রচুর। টি-টোয়েন্টির যুগে টিকে থাকা সহজ নয়। সে হয়তো রান বাঁচানোর বোলিং করছে। ভেতরে আনতে গেলে লাইন লেংথ একটু এদিক সেদিক হলে মার খাওয়ার সুযোগ থাকে। সে হয়তো তাই নিরাপদ পথে বেশি হাঁটছে।”
“যদি মুস্তাফিজ ভালো ফাস্ট বোলিং কোচের হাতে পড়ে ও পরিশ্রম করে, তাহলে আমি নিশ্চিত সেও বল ভেতরে আনতে পারবে। কারণ এটা তার লাগবেই। বাঁহাতি পেসারদের জন্য বল ভেতরে আনা আবশ্যিক একটা ব্যাপার। এটি না পারলে পূর্ণাঙ্গ বাঁহাতি পেসার হওয়া যাবে না।”