বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের ডাক নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর

38

বর্ণবাদী ভাবাদর্শের শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন। গত শুক্রবার দেশটির ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে উগ্র ডানপন্থি এক শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গির নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৫০ জন নিহত হওয়ার পর তিনি এ ডাক দিয়েছেন বলে খবর বিবিসির। ঘটনার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে অ’ডুর্ন অভিবাসনের হার বেড়ে যাওয়াই বর্ণবাদকে উসকে দিচ্ছে এমন ধারণাকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন। ডানপন্থি জাতীয়তাবাদের বিকাশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “অস্ট্রেলীয় নাগরিক ঘটনাটি ঘটালেও নিউ জিল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিককে অপমান করে এমন আদর্শ যে এখানেও নেই তা বলতে পারছি না আমি।” উগ্র ডানপন্থার বিস্তৃতি রোধে একসঙ্গে কাজ করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। “যেখানে এটির অস্তিত্ব আছে সেখান থেকে তা উপড়ে ফেলা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে; আমরা এমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারিনা যেখানে এটি (উগ্র ডানপন্থা) বিকশিত হতে পারে,” বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিশ্ববাসীকে এ লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন।
শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয়ে নিউ জিল্যান্ডের নীতির পক্ষেও দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন অ’ডুর্ন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চের খুনির নাম মুখে না আনার অবস্থানেরও। “তার (ট্যারান্ট) অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, সে কুখ্যাতি চেয়েছিল, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি,” মন্তব্য তার। বুধবার থেকে ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি। এদের মধ্যে সবার প্রথমে দাফন করা হয় সিরিয়া থেকে আসা বাবা ও ছেলের। লিনউড ইসলামিক স্টোরের কাছে অবস্থিত কবরস্থানটিতে এ সময় ক্রাইস্টচার্চের হাজারও শোকার্ত বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।