বর্জ্য ব্যস্থাপনা নিয়ে মেয়রের সাথে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

33

পরিচ্ছন্ন সুন্দর নগরী গড়ার প্রত্যয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন গত বুধবার কর্পোরেশনের কনফারেন্স হলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে আসেন। সাক্ষাৎকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, জাইকার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ইসিগুরো কানামি, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকী মো. জিয়াউল ইসলাম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, ফরহাদুল ইসলাম, শাহীনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতকালে জাইকা প্রতিনিধিদল আধুনিক প্রদ্ধতিতে কিভাবে কঠিন এবং তরল বর্জ্য দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশে অপসারণ করা যায় সে বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেন। ইতোমধ্যে জাইকা নগরীর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বেশ কিছু যানবাহন ও যন্ত্রাংশ ভ্যান গাড়ি দিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে ময়লা অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ু দুর্ষনের বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি-আর বা রিসাইকেল, রিডিউস, রিইডস এই তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ রকম আরো আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম আলোচনায় উঠে আসে। সাক্ষাতকালে সিটি মেয়র বলেন, আমি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখতে চাই। এজন্য নগরবাসীকে ইতোমধ্যে দুর্গন্ধমুক্ত সুন্দর নির্মল ও শুভ্র সকাল উপহার দেয়ার জন্য রাতের বেলা ময়লা অপসারণ সহ আবর্জনা পরিস্কারে আউটসোর্সিং এর ভিত্তিতে অতিরিক্ত ২ হাজার পরিচ্ছন্ন সেবক নিয়োগ দিয়েছি। বিভিন্ন সেবা সংস্থার চলমান উন্নয়ন কাজের কারণে সাময়িকভাবে একটু অপরিকল্পিত মনে হলেও শীঘ্রই এই নগরী বিশ্বের অন্যতম একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরীতে পরিণত হবে বলে আমার প্রত্যাশা। বিজ্ঞপ্তি