বরফপড়া জম্মু পুড়ছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়

55

ভারতের যে রাজ্যটিকে ঠান্ডার রাজধানী বলা হয়; বছরের ১২ মাসই হিমেল হাওয়া যেখানে, একইসঙ্গে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে যার অবস্থান, সেই জম্মু ও কাশ্মীরে এবার ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যটির জম্মু বিভাগে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উষ্ণতা ছড়াচ্ছে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর বলছে।
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ঠান্ডার রাজধানী নামে পরিচিত। বছরের বেশির ভাগ সময়ই এখানে বরফ পড়ে। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মে রাজ্যটির জম্মুতে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বর্তমানেও বিভাগটিতে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা। যদিও আসছে কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যটিতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে গ্রীষ্মকালীন ঝড়, সঙ্গে বজ্রপাতও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর।
দেশটির এক আবহাওয়াবিদ বলছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গত বুধবার। এ দিন বিকেলে রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতিক্রম করেছিল ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। একইসঙ্গে সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবারের (আজ) পরে রাজ্যে ছোটখাটো ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর বাংলানিউজের
একেতো জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর সবসময় ঠান্ডা সয়ে অভ্যাস, তার ওপর আবার এখনের তীব্র গরম- সব মিলে টানা কয়েকদিনের তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যটির জনজীবন। অসহনীয় গরমে অস্বস্তিতে সময় পার করছেন হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ।
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে যথাক্রমে ৪১ ডিগ্রি এবং ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঘণ্টায় মাত্র আট কিলোমিটার বেগে আছে বাতাস। এমন তাপদাহের প্রতিকূল আবহাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দিল্লিবাসীর জীবন। এছাড়া অতিষ্ঠ হলেও কয়েকদিনের মধ্যে কিছু করার নেই; কারণ শুক্রবার পর্যন্ত দিল্লিতে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। যদিও শুক্রবার ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও ছোটখাটো ঝড় হতে পারে দিল্লিতে। একইসঙ্গে আসছে ১২ এবং ১৩ মে শহরটিতে হালকা বৃষ্টি এবং মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস দিচ্ছেন দিল্লির আবহাওয়াবিদরা।