বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৩

19

চকরিয়ায় আবাসিক হোটেলে বসে ইয়াবা বেচাকেনার সময় অভিযান চালিয়ে এসবি পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এক কনস্টেবল ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯৫টি ইয়াবা ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং তিনটি মোবাইলফোন সেট উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে চকরিয়া থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ চকরিয়া পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের রাজবাড়ি আবাসিক হোটেলের চার নম্বর কক্ষে অভিযান চালায়।
এছাড়া ৫০টি ইয়াবাসহ মো. নূরুচ্ছবি (৩২) নামে অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। গতকাল ডুলাহাজারার পাগলির বিল এলাকায় তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, চকরিয়ায় আবাসিক হোটেল থেকে আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল (বরখাস্ত) মেহেদী হাসান (৪৩) দিনাজপুর জেলার চিড়িরবন্দর থানার তালপুকুর এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে এবং তার সহযোগী ফয়েজ আহমদ বাবু (৩৫) ঢাকার রামপুরা পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
তাদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল (কন/২৬৩৬) মেহেদী হাসান ২০১৮ সালে ঢাকার মালিবাগ এসবি পরীক্ষা বিভাগে কর্মরত অবস্থায় অপরাধে যুক্ত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া চকরিয়া থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, চকরিয়া পৌর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ইয়াবা বেচাকেনার খবর পেয়ে থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমানের নির্দেশে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ফোর্স নিয়ে ওই হোটেলে অভিযান চালাই। এ সময় হোটেলের চার নম্বর কক্ষ থেকে ১৯৫টি ইয়াবা ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহমদ বাবুকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে মেহেদী হাসান ২০১৮ সালে ঢাকার মালিবাগ এসবি পরীক্ষা বিভাগে কর্মরত অবস্থায় এক অপরাধের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ইয়াবা ও টাকাসহ দুই ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় এসআই মাজহারুল ইসলাম সরকার বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা করেন। গতকাল শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে চকরিয়ায় ৫০টি ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. নূরুচ্ছবিকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়ে স্থানীয় জনতা। পরে শনিবার ভোর রাতে চকরিয়া থানার এস আই আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে পুলিশ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নূরুচ্ছবি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ভিলিজার পাড়ার মৃত সিরাজ আহামদের ছেলে।
এসআই আবদুল বাতেন বলেন, শনিবার ভোরে ডুলাহাজারার পাগলির বিল এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী নূরুচ্ছবিকে ৫০টি ইয়াবাসহ জনতা আটক করে। এরপর তারা খবর দিলে থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুচ্ছবি স্বীকার করেছেন, এসব ইয়াবা তিনি ওই এলাকার সাইরুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি কাছ থেকে ক্রয় করে ফিরছিলেন। সাইরুল্লাহ মাদক মামলায় ২০দিন আগে জেল থেকে বের হন। এরপর আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ইয়াবাসহ আটক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এসআই আবদুল বাতেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, নুরুচ্ছবি পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।