বন্ধুত্বের উদ্দেশ্য যখন চুরি!

49

মেলামেশা বন্ধুর মতো। একই সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরিও হয়। নিয়মিত যোগাযোগ থাকে। কিন্তু তারা থাকে সুযোগের অপেক্ষায়। সুযোগ পেলেই বন্ধুর শখের মোটরসাইকেলটি কৌশলে চুরি করে। মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলো- মঈনুল হক বাবু (২২), মো. আরমান (২২) ও মো. রাসেদ (২৮)। খবর বাংলানিউজের
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার তিনজনই বন্ধু বলে দাবি তাদের।
ওসি মোহম্মদ মহসীন বলেন, বিভিন্ন স্টেশন, পার্ক, রেস্তোরাঁর সামনে আড্ডাবাজি করাকালে বিভিন্ন মোটরসাইকেল চুরির উদ্দেশ্য ঘটনাস্থলের চারপাশে রেকি করে তারা। নির্দিষ্ট মোটরসাইকেল চুরি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পৌঁছানোর পর ঐ মোটরসাইকেলের মালিকের সাথে বন্ধুত্ব করে। পরে সুযোগ বুঝে মোটর সাইকেলের ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করে রাখে।
তিনি বলেন, কোনো এলাকায় পার্কিং থাকা অবস্থায় গাড়ির মালিকের সঙ্গে এ চক্রের কোনো একজন সদস্য কথা বলার ফাঁকে অন্য কোনো সদস্য কৌশলে গাড়িটি নিয়ে চলে যায়। পরে সেটি বিক্রি করে দেয় তারা।
কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কান্তি দাশ বলেন, ১৪ জানুয়ারি বিকেলে সিআরবি সাতরাস্তার মোড়ে গাড়ি রেখে বন্ধু মঈনুল হক বাবুর সঙ্গে চা পান করছিলেন মোবারক হোসন বাধন। চা পান শেষে এসে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে। তিনি থানায় মামলা করলে তদন্তে দেখা যায় মঈনুল হক বাবুর সহযোগিতায় চোর চক্রের এক সদস্য মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, মঈনুল হক বাবুর দেওয়া তথ্যে চোর চক্রের অপর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি মোহম্মদ মহসীন বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় এরকম ছদ্মবেশে মোটরসাইকেল চুরি করে এমন কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি আমরা। মোটরসাইকেল চুরির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে।