বন্দর সড়কে যানজটে উদ্বেগ মেট্রেপলিটন চেম্বার সভাপতির

45

বন্দরমুখী সড়কগুলোতে কয়েকদিনের তীব্র যানজটে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত হচ্ছে উল্লেখ করে শিল্প-বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ জানান।
বিবৃতিতে খলিলুর রহমান বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আমদানি পণ্য যথাসময়ে শিল্পাঞ্চলে না পৌঁছালে উৎপাদন ব্যাহত হবে। অন্যদিকে রফতানি পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের কনটেইনার নির্ধারিত সময়ে জাহাজীকরণ সম্ভব না হলে বিদেশি ক্রেতা অর্ডার বাতিল করতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই দীর্ঘ যানজটের কারণে বন্দরমুখী পণ্য যাওয়া এবং বন্দর থেকে খালাস করা পণ্য অফডক কিংবা শিল্পাঞ্চলে চলাচল ব্যাহত হলে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় আমদানি পণ্য বাজারে না পৌঁছালে ক্রয়মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। ইদানিং সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়া, অতি বর্ষণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা কর্তৃক সড়ক উন্নয়নে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বন্দর সম্মুখের রাস্তা বারিক বিল্ডিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ফলে বন্দর সংলগ্ন রাস্তায় সব সময় মারাত্মক যানজট লেগে থাকে। যার ফলে ১৫ মিনিটের সড়ক পেরোতে ৩- ৪ ঘণ্টা লেগে যায়।
সিএমসিসিআই সভাপতি এ সড়কের উন্নয়ন কর্মকাÐে জড়িত ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সব সংস্থাকে বৈরী আবহাওয়ার সময় খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে সৃষ্ট গর্তগুলো ভরাট করে বন্দরমুখী যানবাহন চলাচলে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা (২৪/৭) নির্দেশনা অনুসরণে আগ্রাবাদের সব ব্যাংক যাতে শুক্র ও শনিবারসহ অন্যদিন খোলা রাখে এবং চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টম হাউস, সব শিপিং কোম্পানি, ফরওয়ার্ডার ২৪/৭ নির্দেশনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে বন্দর ও সড়কের জট কমে আসবে বলে মনে করেন খলিলুর রহমান।