বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ১৫ শতাংশ বাড়বে

35

ঈগল রেলের সাহায্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার এক ইয়ার্ড থেকে অন্য ইয়ার্ডে নেওয়ার ফিজিবিলিটি স্টাডির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে এ চুক্তি সই হয়েছে। এ সময় বন্দরের পক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এবং ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিকসের পক্ষে মি. মাইক সই করেন।
বন্দর সূত্রে জানা য়ায়, বিশ্বের আধুনিক বন্দরগুলোতে দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার হুক পয়েন্ট থেকে দূরের ইয়ার্ডে বা টার্মিনালে নিয়ে যেতে ঈগল রেল ব্যবহার করা হয়। আধুনিক এ প্রযুক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যবহৃত হলে কন্টেইনার মুভমেন্ট কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বাড়বে। বৈদ্যুতিক শক্তিতে রেল ট্রেকের সাহায্যে ৪০ ফুট উপর দিয়ে কন্টেইনার পরিবহন হবে এ পদ্ধতিতে। স্বাভাবিক রেললাইনের সঙ্গে ঈগল রেলের পার্থক্য হলো-ট্রেন চলে রেল লাইনের ওপর দিয়ে, কিন্তুকন্টেইনার যাবে রেল লাইনের নিচে ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘণ্টায় ২০ ফুট দীর্ঘ ৩০০ কনটেইনার মুভমেন্ট করা যাবে এ পদ্ধতিতে। এটি চালু হলে বন্দরের অভ্যন্তরে হাজার হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভা চলাচল করতে হবে না। এতে নগরীর ও বিমানবন্দর সড়ককেন্দ্রিক প্রধান সড়কের যানজটও কমে যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈগল রেল কন্টেইনার লজিস্টিকসের মি. স্কট, মিসেস সানিয়া, মাসুদ জামিল খান, এম সামায়াল প্রমুখ। বন্দরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাহবুব মোরশেদ, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মির্জা রাকিবুল ইসলাম, উপ-সচিব আজিজুল মাওলা প্রমুখ।