বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন

66

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। তবে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে বন্দরের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। তাই তিনি টার্মিনাল নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বন্দরে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে। লালদিয়ায় কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরের যা সক্ষমতা তা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন। এতে করেই আমদানি-রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে শুধু সমগ্র দেশের উন্নয়ন জড়িত, তা নয়। এ বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো আঞ্চলের উন্নতি নির্ভর করে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বন্দর তালিকায় ৭০তম অবস্থান থেকে ৬ ধাপ এগিয়ে ৬৪ তে এসেছে। এ উন্নয়ন কয়েক শতাব্দী থেকে যাত্রা শুরু করে। অঞ্চল উন্নয়ন ছাড়া যেমন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তেমনি আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসব সফলতার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে আকাশ থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে ৫০, ৬০, ১০০ জাহাজ দেখা যেতো। এখন অতো জাহাজ থাকে না। এটি প্রাকৃতিক বন্দর। কয়েক শতাব্দী আগে প্রতিষ্ঠা। সেভেন সিস্টার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায়। ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে ভিসা লাগে না।