বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ

61

প্রবল ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে ছোট আকারের জাহাজে (লাইটার) আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে পণ্য নিয়ে নৌপথে কোনো লাইটারেজ জাহাজ গন্তব্যেও যেতে পারছে না। আমদানিকারকরা জাহাজ ভাড়া না নেওয়ায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রায় ৪০০ লাইটারেজ জাহাজ নোঙর করে রেখেছেন। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক আছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কিন্তু শনিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সাগরও উত্তাল হয়ে ওঠে।

আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামে বন্দরে তিন নম্বার সতর্কতা সংকতে জারি করে। সেই সাথে রবিবার ও সোমবার বৃষ্টিপাত আরো ভারি হয়ে উঠে। এ কারণে গতকাল সোমবার পর্যন্ত গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ৪১টি মাদার ভ্যাসেল (বড় জাহাজ) সিমেন্ট ক্লিঙ্কার, অপরিশোধিত চিনি, সার, লবণ, পাথর ও সরিষাসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য নিয়ে অপেক্ষমাণ আছে। এসব জাহাজগুলো ১৯০ মিটারের বেশি লম্বা হওয়ায় সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারে না। এসব জাহাজ বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করে। এরপর ক্রেনের মাধ্যমে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার) আমদানি পণ্য খালাস করা হয়। আমদানিকারকদের লাইটারেজ জাহাজ সরবরাহ করে থাকে বেসরকারি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করতে না পারায় ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল থেকে কোনো জাহাজ ভাড়া নিচ্ছে না।
এ কারণে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রায় ৪০০ লাইটার নোঙর করে রাখা হয়েছে। এদিকে নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে আরও কয়েককদিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। সাগরও উত্তাল থাকবে। চট্টগ্রাম বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেতও রয়েছে।
লাইটারেজ জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ বলেন, প্রবল ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের উচ্চতার কারণে সাগরে কাজ করা যাচ্ছে না। আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করতে না পারায় কোনো জাহাজ ভাড়া নিচ্ছে না। এতে আমাদের প্রায় ৪০০ লাইটারেজ জাহাজ বসে আছে। পণ্য খালাসের জন্যও যেতে পারছে না। পণ্য নিয়েও কোথাও যেতে পারছে না বলে জানান তিনি।